সর্বশেষ

চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্রের গুরুতর অভিযোগ

প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৪:৫৭
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্রের গুরুতর অভিযোগ

বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন ও শৃঙ্খলা নষ্টের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার নতুন এক গুরুতর অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ দেশজুড়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে, কারণ বিষয়টি সরাসরি জাতীয় নিরাপত্তা ও সাংবিধানিক স্থিতিশীলতার সঙ্গে সম্পর্কিত।

 

সূত্রগুলো দাবি করেছে, তাজুল ইসলাম ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা বিভিন্ন মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে সামাজিক ও রাজনৈতিক সমালোচনার কেন্দ্রে টানার চেষ্টা করছেন। তাদের উদ্দেশ্য দেশের অন্যতম শক্তিশালী রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সেনাবাহিনীকে দুর্বল করে রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা।

 

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ইউনূস সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে সীমান্তে মিয়ানমারের সঙ্গে উত্তেজনা ও ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপোড়েন তৈরি করছে, যাতে সেনাবাহিনীকে একটি বিব্রতকর অবস্থায় ফেলা যায়। একই সঙ্গে প্রশাসন মৌনভাবে কিছু মৌলবাদী গোষ্ঠীর উত্থানকে প্রশ্রয় দিচ্ছে, যা সামরিক ও বেসামরিক খাতের মধ্যে অবিশ্বাসের পরিবেশ তৈরি করছে।

 

জাতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সেনাবাহিনী একটি দেশের সার্বভৌমত্ব ও অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার মূল স্তম্ভ। রাজনৈতিক স্বার্থে এই প্রতিষ্ঠানকে আঘাত করা বা বিভক্ত করার প্রচেষ্টা রাষ্ট্রের ঐক্য ও সাংবিধানিক কাঠামোর জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।

 

ইতিহাস সাক্ষী যে, যেসব দেশে সেনাবাহিনী রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে, সেসব দেশ অচিরেই বিশৃঙ্খলা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে নিমজ্জিত হয়েছে। তাই সেনাবাহিনীকে নিয়ে কোনো ধরনের বিভাজনমূলক বক্তব্য বা ষড়যন্ত্রকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়।

 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়, তবে অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত কমিশন গঠন করা উচিত। অন্যদিকে, সেনাবাহিনী যদি মনে করে তাদের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে আইনগত ও প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

 

একই সঙ্গে সরকার ও প্রসিকিউটর অফিসের উচিত এই অভিযোগগুলো সম্পর্কে পরিষ্কার ব্যাখ্যা প্রদান করা, যাতে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি না ছড়ায় এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থা বজায় থাকে।

 

বর্তমান রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার বা প্রভাবিত করার যেকোনো প্রচেষ্টা দেশের ভবিষ্যতের জন্য বিপজ্জনক। অভিযোগ সত্য হোক বা মিথ্যা যে কোনো পক্ষকেই আইনের আওতায় আনা উচিত।

সব খবর

আরও পড়ুন

ফটিকছড়িতে হানাদার বাহিনীর বর্বরতা

ঈদের দিনে অর্ধশত শহীদ ফটিকছড়িতে হানাদার বাহিনীর বর্বরতা

জন্মস্থানে অবহেলিত কিংবদন্তি বুদ্ধিজীবী ডা. ফজলে রাব্বী

নেই কোনও স্মৃতিচিহ্ন জন্মস্থানে অবহেলিত কিংবদন্তি বুদ্ধিজীবী ডা. ফজলে রাব্বী

বিজয়ের আগেই কূটনৈতিক কৌশল বদলেছিল ওয়াশিংটন

মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিনগুলো বিজয়ের আগেই কূটনৈতিক কৌশল বদলেছিল ওয়াশিংটন

কারাগারে দ্বিতীয় বিজয় দিবস কাটাবেন একাত্তরের বিজয়ের কারিগরেরা

‘দেশ স্বাধীন করার শাস্তি’ কারাগারে দ্বিতীয় বিজয় দিবস কাটাবেন একাত্তরের বিজয়ের কারিগরেরা

আজ ৫৫তম মহান বিজয় দিবস

স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা আজ ৫৫তম মহান বিজয় দিবস

রায়েরবাজারে জনসমাগম কম, তবু উচ্চারিত হলো মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস রায়েরবাজারে জনসমাগম কম, তবু উচ্চারিত হলো মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার

প্রণয় ভার্মাকে তলবের পর ঢাকার উদ্বেগ প্রত্যাখ্যান করল নয়াদিল্লি

প্রণয় ভার্মাকে তলবের পর ঢাকার উদ্বেগ প্রত্যাখ্যান করল নয়াদিল্লি

পরাজয় যতই স্পষ্ট, বুদ্ধিজীবী অপহরণের মাত্রা বাড়তে লাগল

একাত্তরের এই দিন | ১৩ ডিসেম্বর ১৯৭১ পরাজয় যতই স্পষ্ট, বুদ্ধিজীবী অপহরণের মাত্রা বাড়তে লাগল