কুমিল্লার হোমনা উপজেলার আসাদপুর ইউনিয়নের আসাদপুর গ্রামে ধর্মীয় উত্তেজনার জেরে চারটি মাজারে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাইকে ঘোষণা দিয়ে স্থানীয় জনতা এসব হামলা চালায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ‘বেমজা মহসিন’ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে বুধবার সকালে ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়া হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা থানার সামনে বিক্ষোভ করে অভিযুক্ত যুবকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং দুপুরে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে। বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা হোমনা উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরীফুল ইসলাম বাদী হয়ে হোমনা থানায় মামলা করেন। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
তবে গ্রেপ্তারের পরও উত্তেজনা প্রশমিত হয়নি। সকাল থেকেই মাইকে ঘোষণা দিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতা আসাদপুর গ্রামের কফিল উদ্দিন শাহ ও হাওয়ালি শাহ মাজারে অগ্নিসংযোগ করে এবং কালাই শাহ ও আবদু শাহ মাজারে ভাঙচুর চালায়। পরে চারটি মাজারেই আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনার পর কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো. নাজির আহমেদ খান ও হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্ষ্যেমালিকা চাকমা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
হোমনা থানার ওসি মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানান, ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তবে জনতা মাজারে হামলা চালিয়ে আইন ভঙ্গ করেছে।
পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান বলেন, “ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্টের পরপরই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু যারা মাজারে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।”
এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে, তবে প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে।