বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নিলোফার চৌধুরী মনি বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী ইসলামকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে, কিন্তু ধর্মীয় অনুশাসন পালন করে না। অন্যদিকে বিএনপি ইসলামকে ধারণ করে, পালন করে, কিন্তু রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে না।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) কালের কণ্ঠের ‘কালের সংলাপ’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “জামায়াত ব্যাংক, পরিবহণ, প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয়সহ বুদ্ধিজীবীমূলক জায়গাগুলো দখল করে রেখেছে। তারা সেন্ট্রালভাবে নিয়ন্ত্রণ করে, আর সবাই ভাগা পায়—একটা চাকরির মতো।”
তিনি অভিযোগ করেন, জামায়াতের অর্থ সংগ্রহের পদ্ধতি অনেকটা ডেসটিনির মতো। “বিশ্বজুড়ে তাদের একটি চাঁদার সিস্টেম আছে। প্রত্যেকে ইনকামের ৫ শতাংশ দেয়, যা দিয়ে তারা লবিস্ট রাখে। এটা একটা প্রতিষ্ঠিত কাঠামো,” বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ড. আব্দুল মান্নান বলেন, “এই সিস্টেমকে চাঁদাবাজি বলা যায় না।”
উত্তরে নিলোফার মনি বলেন, “যদি ঘুষ দিয়ে প্রমোশন হয়, তাহলে সেটা ঘুষই। জামায়াতের মাসিক পেমেন্ট সিস্টেমও এক ধরনের ঘুষের আওতায় পড়ে।”
তিনি আরও বলেন, “জামায়াত যারা করে, তারা ভালো জায়গায় আছে। আমার এক আত্মীয়, যার শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন হওয়ার কথা এক-দেড় লাখ, সে পায় চার-সাড়ে চার লাখ। কারণ তার ‘জ্যাক’ আছে। সে জামায়াত করে, তাই প্রমোশন পায়। জামায়াত না করলে চাকরি বা প্রমোশন পাবে না।”
নিলোফার মনি বলেন, “ইসলাম কোথাও বলেনি, রেশিও অনুযায়ী প্রতিমাসে টাকা নিতে হবে। জামায়াত সেটা করে, অথচ দাবি করে তারা ইসলামিক দল।”
তিনি বলেন, “আমি নেতিবাচকভাবে বলছি না, আইন কী বলে—সেভাবেই বলছি। জামায়াত যেটা করে, তারা বলে হাদিয়া; বিএনপি করলে বলে চাঁদাবাজি; এনসিপি করলে বলে ডোনেশন।”
এই মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক ছড়িয়েছে, বিশেষ করে জামায়াতের অর্থনৈতিক কাঠামো ও ধর্মীয় অবস্থান নিয়ে।