বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা হলে তা হবে একটি ভয়ংকর চর্চা। মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “আমরা আগেও পরিষ্কারভাবে বলেছি—নির্বাহী আদেশে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার বিষয়টি আমরা সমর্থন করি না। আদালতকে সিদ্ধান্ত নিতে দিন। আমরা তো আদালতে যাওয়ার পথ উন্মুক্ত করতে আইন সংশোধন করেছি। আগে সেই বিধান ছিল না, পরে সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট আইনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যদি কোনো সিদ্ধান্ত আসে, নির্বাচন কমিশন তা মানতে বাধ্য। কিন্তু নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে দল নিষিদ্ধ করার চেষ্টা হলে তা হবে ভয়ংকর।”
সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতির বিরোধিতা করে সালাহউদ্দিন বলেন, “প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করার পদ্ধতি পরীক্ষিত। কেউ যদি রাজনৈতিক স্বার্থে বা অতিরিক্ত আসনের লোভে পিআর পদ্ধতি চায়, তাহলে তা জাতীয় জীবনে ভয়ংকর পরিণতি ডেকে আনবে।”
নির্বাচন পেছানোর সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “নির্বাচন বিলম্বিত বা বাধাগ্রস্ত করার জন্য যেকোনো রাজনৈতিক কৌশল জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে। কারণ, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষ দীর্ঘদিন সংগ্রাম করেছে, রক্ত দিয়েছে, শহীদ হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, জুলাই মাসে জাতীয় সনদ প্রণীত হয়েছে, এখন তা স্বাক্ষরের অপেক্ষায় রয়েছে। বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা চলছে, তবে এ নিয়ে আন্দোলন বা রাজপথে নামা অনুচিত বলে মত দেন তিনি।
রাষ্ট্রব্যবস্থা সংস্কারের দাবিকে গণদাবি হিসেবে উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন বলেন, “এই অধিকার তখনই প্রতিষ্ঠা পাবে, যখন অবাধ, সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় সংসদ ও সরকার গঠিত হবে। যারা এই পথে বাধা সৃষ্টি করবে, তাদের জনগণই প্রত্যাখ্যান করবে।”
বিএনপি জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি গ্রহণ করবে কি না—এ প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমরা উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ—দুই জায়গাতেই পিআর পদ্ধতির বিপক্ষে।”