কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সময়মতো ঢাকায় পৌঁছাতে না পারায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়ার পরিকল্পনা পিছিয়েছে। শুক্রবার সকালে বিমানের কারিগরি ত্রুটি ধরা পড়ায় এটি নির্ধারিত সময়ে ঢাকা আসতে পারেনি। সব ঠিক থাকলে শনিবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছাতে পারে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি জানান, “ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা যাত্রার উপযোগী থাকলে এবং মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত দিলে ইনশাল্লাহ ৭ তারিখে ফ্লাই করবেন।”
এরই মধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান লন্ডন থেকে ঢাকায় এসে এভারকেয়ার হাসপাতালে শাশুড়ির সঙ্গে আড়াই ঘণ্টা সময় কাটান। তার আগমনকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয় এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতিও লক্ষ্য করা যায়। জুবাইদা সকাল ১০টা ৪৪ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছে দুপুরে হাসপাতালে যান এবং পরে ধানমন্ডির বাসায় ফেরেন।

২৩ নভেম্বর থেকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। আর্থ্রাইটিস, কিডনি, লিভার ও ফুসফুসের জটিলতাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন তিনি। ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। সরকার তাকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ (ভিভিআইপি) ঘোষণা করায় হাসপাতালে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।
গত কয়েক দিনে যুক্তরাজ্য ও চীন থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাও ঢাকা এসে চিকিৎসা সহায়তায় যোগ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার এভারকেয়ারে অনুষ্ঠিত মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় তার উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়া প্রয়োজন। বৈঠক শেষে চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে এবং সবাই তার সুস্থতার আশায় রয়েছে।
এদিকে তার রোগমুক্তি কামনায় শুক্রবার দেশের সব মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপিও সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনার কর্মসূচি পালন করে।
সব মিলিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বিলম্বিত হওয়ায় খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা আপাতত রোববারের আগে সম্ভব হচ্ছে না। মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত ও তার শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারিত হবে।