ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের ইন্ডিপেনডেন্ট ডিরেক্টর মো. আব্দুল জলিল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ এবং ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর কথোপকথনের একটি অংশ ফাঁস হওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ভোটকেন্দ্রের ভেতরে-বাইরে সম্ভাব্য দায়িত্ব বণ্টন, নিরাপত্তা পরিকল্পনা ও ডিউটি সংক্রান্ত আলাপের কিছু অংশ প্রকাশ পাওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় চলছে।
ব্যাংক–জামায়াত যোগাযোগের প্রশ্ন আবারও সামনে
অডিও ফাঁসের দাবির পর পুরনো বিতর্ক আবারও মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে—ইসলামী ব্যাংক ও জামায়াতে ইসলামের সম্ভাব্য যোগাযোগ। যদিও জামায়াতে ইসলামী ২৮ অক্টোবর এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, তাদের সঙ্গে ইসলামী ব্যাংকের কোনো সাংগঠনিক বা প্রশাসনিক সম্পর্ক নেই। কিন্তু নতুন করে কথোপকথন প্রকাশের অভিযোগে জনমনে সন্দেহ আরও বেড়েছে।
এর আগে বিএনপি নির্বাচন কমিশনের কাছে ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক এবং ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের কর্মীদের জাতীয় নির্বাচনের দায়িত্ব না দেওয়ার অনুরোধ জানায়। এই প্রসঙ্গে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার দাবি করেন—বিএনপির অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ভিত্তিহীন।
বিএনপির অভিযোগ কী ছিল
২৩ অক্টোবর বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করে অভিযোগ তোলে যে কিছু ব্যাংক কর্মকর্তা রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট হতে পারেন, তাই তাদের ভোটের কাজে না রাখা উচিত। নির্বাচন কমিশন বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে বলেও তারা উল্লেখ করেন।
কে এই মো. আব্দুল জলিল
অডিও ফাঁসের কথোপকথনে উঠে আসা মো. আব্দুল জলিল দেশের অভিজ্ঞ ইসলামী ব্যাংকারদের একজন। তিনি ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগ দেন এবং ১৯৮৪ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তী সময়ে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ডিএমডি হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। ব্যাংকিং, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনায় তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে।
সত্যতা নিয়ে নীরবতা
এ ঘটনা সামনে এলেও ইসলামী ব্যাংক, জামায়াতে ইসলামী বা নির্বাচন কমিশন কেউই এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে বক্তব্য দেয়নি। অডিওটির সত্যতা যাচাই বা তদন্ত করা হবে কি না, তাও পরিষ্কার নয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচনের আগে এমন অডিও ফাঁসের দাবি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে এবং রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বাড়াতে পারে।