বিএনপি নেতা ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহসানুল হক মিলন অভিযোগ করেছেন, চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ব্যাংককে যাওয়ার সময় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে বিদেশ যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে, তবে নিষেধাজ্ঞার কারণ সম্পর্কে কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “ইমিগ্রেশনে আমাকে জানানো হয় বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কারণ জানতে চাইলে কোনো সদুত্তর দেওয়া হয়নি। বিষয়টা আমার কাছে রহস্যজনক।”
মিলন জানান, ব্যাংককে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ পেয়ে তিনি গত ২৫ অক্টোবর দেশে ফিরে আসেন। তিনি বলেন, “দলের দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে চিকিৎসা অসম্পূর্ণ রেখেই ঢাকায় ফিরেছি। সাংগঠনিক কাজ শেষ করে আবার ৩০ অক্টোবর ব্যাংককের উদ্দেশ্যে রওনা হই। কিন্তু যাত্রাকালীন সময়ে আমাকে আটকে দেওয়া হয়।”
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, অতীত সরকারের আমলে বিএনপি নেতাকর্মী এবং ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষ বিদেশে চিকিৎসা বা ভ্রমণে যেতে বাধাগ্রস্ত হতেন, যা ছিল রাজনৈতিক প্রতিশোধের একটি রূপ। তিনি বলেন, “বিগত শাসনামলে আমার পরিবারসহ অসংখ্য নেতাকর্মী ভয়াবহ নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তখন বিদেশ ভ্রমণ ঠেকানো হতো অত্যাচারের হাতিয়ার হিসেবে।”
বর্তমান পরিস্থিতিকে রাজনৈতিক হয়রানি নয় বলে আশা জানিয়ে মিলন বলেন, “এখন ক্ষমতায় মহান ২৪ গণঅভ্যুত্থানের সরকার। আমার দল বিএনপি শুরু থেকেই প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন দিয়ে আসছে। আমি বিশ্বাস করি ভুল তথ্য বা কোনো ষড়যন্ত্রের কারণে সরকার বিভ্রান্ত হবে না।”
তিনি সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা চান এবং নিজের মতো করে নয়, বরং দেশের সব নাগরিকের সাংবিধানিক, মানবিক ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপের আহ্বান জানান। তাঁর ভাষায়, “চিকিৎসা, স্বাধীন চলাচল, মতপ্রকাশ এসব মৌলিক অধিকার। আমি আশা করি সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।”
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। মিলন জানান, প্রয়োজন হলে তিনি আইনি পদক্ষেপ নিতেও প্রস্তুত।