জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি—জাগপার একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফুর রহমানের ওপর ঢাকার বিজয়নগরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। সোমবার রাত ৮টার দিকে গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয় থেকে বেরিয়ে সড়ক পার হওয়ার সময় একদল দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতারি কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে।
জাগপার সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন জানান, হামলার সময় লুৎফুর রহমান একা ছিলেন। তাকে দ্রুত কাকরাইলের ইসলামী হাসপাতালে নেওয়া হয়, যেখানে তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় এবং জরুরি চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এই হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ওপর ধারাবাহিক হামলা গভীর চক্রান্তের অংশ। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে বানচাল করতেই এমন ঘটনা ঘটানো হচ্ছে।” তিনি অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
রাতেই বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খন্দকার হাসপাতালে গিয়ে লুৎফুর রহমানের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।
খন্দকার লুৎফুর রহমান জাগপার একাংশের সভাপতি হিসেবে বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সঙ্গে যুক্ত। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের ওপর হামলার ঘটনা বাড়ছে, যা গণতান্ত্রিক পরিবেশের জন্য উদ্বেগজনক।
জাগপা নেতারা মনে করছেন, এই হামলা পূর্বপরিকল্পিত এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তারা বলেন, “এটি শুধু একজন নেতার ওপর হামলা নয়, বরং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত।”
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতাকর্মীরা হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত বিচার দাবি করছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি না এলেও তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।
এই ঘটনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সহিংসতার নতুন মাত্রা যুক্ত হলো, যা আগামী নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে আরও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। নেতৃবৃন্দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ এখন সময়ের দাবি।