লিবিয়া থেকে ৩১০ বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে তারা ঢাকায় পৌঁছান। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফিরিয়ে আনা বাংলাদেশিদের বেশিরভাগই মানবপাচারকারীদের প্ররোচনায় সমুদ্র পথে অবৈধভাবে ইউরোপ যাওয়ার উদ্দেশ্যে লিবিয়ায় প্রবেশ করেছিলেন। তাদের মধ্যে অনেকেই সেখানে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত উদ্যোগে লিবিয়া সরকার ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় এই প্রত্যাবাসন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
প্রত্যাবাসিত বাংলাদেশিদের বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও আইওএমের কর্মকর্তারা। জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তাদের অনুরোধ করা হয়, যেন তারা নিজেদের দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নেন। আইওএম প্রত্যেককে পথ খরচ, কিছু খাদ্যসামগ্রী ও প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, লিবিয়ার বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য একযোগে কাজ করছে মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা।
সরকার বলছে, অবৈধভাবে বিদেশে যাওয়ার ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি। মানবপাচারকারীদের প্রলোভনে পড়ে অনেকেই জীবন বিপন্ন করছেন। এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়ানো জরুরি।