বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে রদবদল ও পদোন্নতি হয়েছে। নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি (জেনারেল অফিসার কমান্ডিং) এবং বিভিন্ন এরিয়া কমান্ডসহ সেনাবাহিনীর একাধিক কৌশলগত পদে নতুন কর্মকর্তাদের পদায়ন করা হয়েছে। এ সময় দুই ব্রিগেডিয়ার জেনারেলকে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। দায়িত্বশীল সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
পদায়ন অনুযায়ী, বগুড়ার এরিয়া কমান্ডার ও জিওসি মেজর জেনারেল আসাদুল হককে নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি এবং সাভারের এরিয়া কমান্ডার হিসেবে বদলি করা হয়েছে। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের পদাতিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল তৌহিদুল আহমেদ। তিনি এখন বগুড়ার এরিয়া কমান্ডার ও জিওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
অন্যদিকে, কুমিল্লার জিওসি মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ তারিককে বদলি করে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের পদাতিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কমান্ড্যান্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
সেনা কল্যাণ সংস্থার চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল হাবিব উল্লাহকে বদলি করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তার জায়গায় সেনা সদরে কর্মরত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেনকে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়ে সেনা কল্যাণ সংস্থার চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, সেনা সদর দফতরের মিলিটারি অপারেশনসের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজিম-উদ-দৌলাকে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়ে কুমিল্লার জিওসি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়মিতভাবে রদবদল ও পদোন্নতির মাধ্যমে নেতৃত্ব কাঠামোকে সময়োপযোগী রাখলেও এবারের পরিবর্তন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আসন্ন জাতীয় পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে সেনা নেতৃত্বে এই রদবদল ব্যাপক গুরুত্ব বহন করছে।
বিশেষ করে নবম পদাতিক ডিভিশন (সাভার) ও কুমিল্লা এরিয়া কমান্ড—উভয়ই রাজধানী ঢাকার কৌশলগত কাছাকাছি অবস্থান করছে। ফলে এই দুই জিওসির নেতৃত্ব পরিবর্তন সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ ভারসাম্য ও জাতীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। এই পদোন্নতি ও বদলি শুধু প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নয়, বরং বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় সেনা নেতৃত্বের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ একটি পদক্ষেপ।