সর্বশেষ

ব্যাংকে কোটিপতির ঢল, গরিবের হাহাকার, এই অর্থনীতি নব্য লুটেরাদের

প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪:৫১
ব্যাংকে কোটিপতির ঢল, গরিবের হাহাকার, এই অর্থনীতি নব্য লুটেরাদের

মাত্র তিন মাসে নতুন ৫ হাজার ৯৭৪টি কোটিপতি হিসাব যুক্ত হয়েছে। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে মাত্র ৫টি কোটিপতি হিসাব থেকে আজ ২০২৫ সালে তা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজারে। সংখ্যার এই অস্বাভাবিক উল্লম্ফনকে কেউ উন্নয়ন বললেও বাস্তবতা দেখাচ্ছে বৈষম্যের নগ্ন চিত্র।

 

প্রশ্ন হলো এই কোটিপতিরা কারা? তারা কি কৃষক, শ্রমিক বা দিনমজুর? না। এরা সেই রাজনৈতিক দানব, যারা চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও দুর্নীতির টাকায় রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছে। ছাত্ররাজনীতির মাঠে স্লোগান দেয়া ৯০ ভাগ নেতা আজ কোটিপতি। জুলাই ঘটনার আহতদের ৬০ ভাগ কোটি টাকার মালিক। বিএনপি-জামাতের আঞ্চলিক নেতারা চাঁদাবাজির টাকায় সম্পদের পাহাড় তুলেছে। যারা একদিন রিকশায় উঠতে ভয় পেত খরচের ভয়ে, তারাই আজ বিলাসবহুল গাড়ির বহরে ঘুরে বেড়ায়।

অন্যদিকে দেশের বাস্তব অর্থনীতি রক্তশূন্য। শিল্পকারখানা বন্ধ, রপ্তানি ধুঁকছে, কর্মসংস্থান কমছে। বাজারে চাল-ডালের দাম আকাশচুম্বী, সাধারণ মানুষ দিন দিন গরিব থেকে গরিবতর হচ্ছে। অথচ সরকারের ছত্রছায়ায় গুটিকয়েক রাজনৈতিক কোটিপতি প্রতিদিন আরও মোটা হচ্ছে।

 

এটাই কি সেই অর্থনীতি, যে স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল? যেখানে ধনীরা আরও ধনী আর গরিবরা আরও নিঃস্ব সেটি উন্নয়ন নয় এটি লুটেরাদের উৎসব। কোটিপতির সংখ্যা বাড়া দেশের সমৃদ্ধির প্রমাণ নয়, বরং বৈষম্যের আগুনে জ্বলতে থাকা জাতির করুণ প্রতিচ্ছবি।

 

এখনই সময় জাগরণের। যদি এই লুটেরাদের লাগাম টেনে ধরা না যায়, তবে কোটি কোটিপতির ব্যাংক হিসাবের নিচে চাপা পড়বে কোটি কোটি সাধারণ মানুষের হাহাকার।

সব খবর