বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশে অরাজকতা, চাঁদাবাজি ও নারী নিরাপত্তাহীনতা বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির ও চরমোনাই পীরের সন্তান মুফতি মুহাম্মদ ফয়জুল করিম।
রোববার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে বরিশালের বাকেরগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত এক গণসমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফয়জুল করিম বলেন, “বিএনপি যদি ক্ষমতায় যায়, ঘুমাতে পারবেন না, ব্যবসা করতে পারবেন না, সুন্দরী নারীরা রাস্তায় বের হতে পারবে না। সচেতন হোন জনগণ। আপনারা কি জুলুমকারী, অত্যাচারী ও চাঁদাবাজদের পরিবর্তন চান না? চাঁদাবাজদের এদেশ থেকে উচ্ছেদ করতে হাতপাখায় ভোট দিন, তাহলেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে।”
ইসলামী আন্দোলন আয়োজিত ওই সমাবেশের মূল উদ্দেশ্য ছিল “রাষ্ট্র সংস্কার, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন এবং সংখ্যানুপাতিক (PR) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন”– এই তিনটি দাবির পক্ষে গণসমর্থন জোরদার করা।
ফয়জুল করিম তাঁর বক্তব্যে বলেন, “আপনারা পিআর পদ্ধতি মানলেন না, গণহত্যার বিচারও করলেন না। ভেবেছিলাম বৈষম্য দূর হবে, মানুষ শান্তি পাবে। কিন্তু ১৯৭১ সাল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত যারা এদেশ শাসন করেছে—মুসলিম লীগ, আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি—তারা কেউই মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারেনি।”
তিনি আরও বলেন, “চোর যদি এমপি হয়, সে চুরি করবে; জুলুমকারী শাসক হলে মানুষ কষ্ট পাবে। আওয়ামী লীগকে চাঁদাবাজি, জুলুম আর দখলদারির জন্য মানুষ তাড়িয়েছে, কিন্তু সেই চাঁদাবাজি আজও চলছে।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ফয়জুল করিমের বক্তব্য বিএনপির বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারের অংশ হলেও নারীদের নিয়ে করা মন্তব্য সামাজিকভাবে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। অনেকেই একে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে অবমাননার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন।
ইসলামী আন্দোলন সম্প্রতি নির্বাচনে অংশগ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং নিজস্ব প্রতীক ‘হাতপাখা’ নিয়ে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে।