বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এখনো ‘সংকটে’ রয়েছে বলে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক অধিকার সংস্থা ARTICLE 19। সোমবার জেনেভায় অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের (UNHRC) ৬০তম অধিবেশনের সাধারণ বিতর্কে এই মন্তব্য করে সংস্থাটি।
সংস্থাটির ‘গ্লোবাল এক্সপ্রেশন রিপোর্ট’ অনুসারে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবশ্যই মতপ্রকাশ ও তথ্যের অধিকার নিশ্চিতে কার্যকর পরিবেশ তৈরি করতে হবে এবং সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
সংস্থাটি জানায় ২০২৪ সালের আগস্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগ ও নতুন সরকার গঠনের পর কিছু সংস্কার হয়েছে, যার মধ্যে ‘বহুল সমালোচিত’ সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল অন্যতম। তবে পাশাপাশি শঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছে, নতুন প্রস্তাবিত কয়েকটি আইন আবারও অনলাইনে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সীমিত করতে পারে যার মধ্যে রয়েছে সুরক্ষিত মতামতকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা, নজরদারি বৃদ্ধি, স্বচ্ছতা ও ন্যায্য প্রক্রিয়া ছাড়া কনটেন্ট মুছে ফেলা ইত্যাদি।
সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও হত্যার ঘটনায় দায়মুক্তি এখনো গভীর উদ্বেগের কারণ বলেও মনে করে এই অধিকার সংস্থা। সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহরুন রুনি হত্যার ১৩ বছর পরও কোনো সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি। বরং, ২০২৫ সালে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন ও খন্দকার শাহ আলমকে হত্যা করা হয়, যা এই সংকটের ভয়াবহতা তুলে ধরে বলে মনে করে ARTICLE 19।
এছাড়া নারী সাংবাদিকরা কর্মক্ষেত্রে হয়রানি, শারীরিক আক্রমণ ও অনলাইনে ধর্ষণের হুমকির মতো বহুমাত্রিক ঝুঁকির মুখে পড়ছেন বলেও সতর্ক করে সংস্থাটি।
এসময় ARTICLE 19 বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড অনুযায়ী আইন সংস্কার এবং সাংবাদিকদের ওপর সব হামলার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানায়।