কুমিল্লার হোমনা থানার হেফাজতে থাকা হামিদা ওরফে ববিতা (৩০) নামে এক নারী আসামির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (ভোর সাড়ে ৫টা) থানার নারী ও শিশু সহায়তা ডেস্ক কক্ষ থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাকে দুপুরে আদালতে সোপর্দ করার কথা ছিল।
নিহত হামিদা হোমনা উপজেলার ঘনিয়ারচর গ্রামের খলিল মিয়ার স্ত্রী। পুলিশের প্রাথমিক ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
পুলিশ জানায়, বুধবার সকালে পারিবারিক বিরোধের জেরে হামিদা তার সতীনের ছেলে সায়মন (১১)–কে ছুরিকাঘাত করেন। এতে শিশুটির গুরুতর জখম হয় এবং নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে আসে। আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সায়মন বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ঘটনার পর স্থানীয়রা হামিদাকে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ বুধবার বিকেল ৫টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে আহত সায়মনের চাচা স্বপন মিয়া বাদী হয়ে রাতেই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
হোমনা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল করিম জানান, হামিদার সঙ্গে তার চার বছরের একটি সন্তান থাকায় তাকে নারী ও শিশু সহায়তা ডেস্কে রাখা হয়েছিল। যেহেতু ঘটনাটি থানা হেফাজতে ঘটেছে, তাই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সুরতহাল শেষে আইনগত প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে।
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদুল আলম চৌধুরী জানান, যে কক্ষে হামিদাকে রাখা হয়েছিল সেখানে ভেতরে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না, তবে কক্ষের দরজায় ক্যামেরা ছিল। পুলিশ ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ দেখতে পেয়ে তাকে হাসপাতালে নেয়নি। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হবে।