অর্থনৈতিক মন্দার মাঝেই জন্ম নিচ্ছে হাজার হাজার কোটিপতি
মাত্র ৮–১০ মাসে ১০ হাজারেরও বেশি নতুন কোটিপতি, সাধারণ মানুষ দারিদ্র্যের স্রোতে ভেসে যাচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে এক ভয়াবহ মন্দার মধ্যে রয়েছে। কোভিড-পরবর্তী সময়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধি নেমে এসেছে মাত্র ৩.৯৭ শতাংশে।
মাত্র ৩ মাসে দেশে কোটিপতি বেড়েছে ৬ হাজার
বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে কোটি টাকার বেশি জমা থাকা হিসাবে নতুন রেকর্ড গড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের জুন শেষে কোটিপতি হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ৩৩৬টিতে। মার্চ শেষে এই সংখ্যা ছিল ১ লাখ ২১ হাজার ৩৬২টি।
ব্যাংকে কোটিপতির ঢল, গরিবের হাহাকার, এই অর্থনীতি নব্য লুটেরাদের
মাত্র তিন মাসে নতুন ৫ হাজার ৯৭৪টি কোটিপতি হিসাব যুক্ত হয়েছে। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে মাত্র ৫টি কোটিপতি হিসাব থেকে আজ ২০২৫ সালে তা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজারে। সংখ্যার এই অস্বাভাবিক উল্লম্ফনকে কেউ উন্নয়ন বললেও বাস্তবতা দেখাচ্ছে বৈষম্যের নগ্ন চিত্র।
গণছুটি কর্মসূচিতে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীরা, ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিল সরকার
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৩০ হাজারের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী চার দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের গণছুটি কর্মসূচি শুরু করেছেন। এর জবাবে সরকার রোববার রাতে ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে কর্মস্থলে ফিরে না এলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
বৈষম্য-অবমূল্যায়নে শিক্ষকতার প্রতি অনীহা বাড়ছে
গত কয়েক বছর ধরে শিক্ষা ক্যাডার থেকে অন্য ক্যাডার বা ভিন্ন পেশায় চলে যাচ্ছেন অনেক শিক্ষক। শুধু তাই নয়, বেসরকারি স্কুল-কলেজের অনেক শিক্ষকও চাকরি ছেড়ে বিদেশে চলে যাচ্ছেন।
নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যে বৈষম্যমূলক ভ্যাট, সাধারণ মানুষের প্রতি রাষ্ট্রের নিষ্ঠুরতা
বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে এমন এক অবস্থার মুখোমুখি, যেখানে নীতি-নির্ধারণের দায়িত্ব কেবল বিদেশীদের চিন্তাভাবনা ও ফরমূলার ওপর নির্ভর করছে। অভিজ্ঞতা, বাস্তবতা এবং দেশের নিজস্ব অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটকে উপেক্ষা করে যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, তার ফল ভোগ করছেন সাধারণ মানুষ।
পাতা 1 এর 1.