সর্বশেষ

গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্স ২০২৫

কেনিয়া–ঘানার চেয়েও পিছিয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২:৪৪
কেনিয়া–ঘানার চেয়েও পিছিয়ে বাংলাদেশ

বৈশ্বিক উদ্ভাবন সূচক (গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্স–জিআইআই) ২০২৫–এ বাংলাদেশের অবস্থান অপরিবর্তিত থেকে ১৩৯ দেশের মধ্যে ১০৬তম হয়েছে। এ অবস্থান ধরে রাখলেও বাংলাদেশ আফ্রিকার কয়েকটি দেশের পেছনে রয়েছে। ঘানা রয়েছে ১০১তম, কেনিয়া ১০২তম এবং নাইজেরিয়া ১০৫তম স্থানে।

 

২০২২ সালে বাংলাদেশ এক লাফে ১৪ ধাপ উঠে ১০২তম স্থানে গিয়েছিল। কিন্তু ধারাবাহিক অগ্রগতি ধরে রাখতে না পেরে ২০২৩ সালে পিছিয়ে পড়ে ১০৫তম এবং ২০২৪ সালে ১০৬তম স্থানে নেমে যায়। এর আগে টানা চার বছর দেশটি ছিল ১১৬তম স্থানে। বিশ্লেষকদের মতে, সাময়িক সাফল্য ধরে রাখতে না পারা গবেষণা ও উদ্ভাবনে স্থায়ী ভিত্তি না থাকারই প্রমাণ।

 

জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা বিশ্ব মেধাস্বত্ব সংস্থা (ডব্লিউআইপিও) গত ১৬ সেপ্টেম্বর সূচকের ১৮তম সংস্করণ প্রকাশ করে। এতে শীর্ষে আছে সুইজারল্যান্ড (৬৬ পয়েন্ট), যা টানা ১৫ বছর ধরে প্রথম স্থান ধরে রেখেছে। দ্বিতীয় স্থানে সুইডেন, তৃতীয় যুক্তরাষ্ট্র, চতুর্থ দক্ষিণ কোরিয়া এবং পঞ্চম সিঙ্গাপুর। এ ছাড়া যুক্তরাজ্য, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক এবং প্রথমবারের মতো চীন শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছে।

 

দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে ভারত, যা এক ধাপ এগিয়ে এ বছর ৩৮তম স্থানে উঠেছে। এরপর শ্রীলঙ্কা ৯৩তম, পাকিস্তান ৯৯তম এবং বাংলাদেশ ১০৬তম। বাংলাদেশ কেবল নেপালের (১০৭তম) চেয়ে এগিয়ে আছে। নিম্ন-মধ্যম আয়ের ৩৭ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৯তম।

 

২০২৫ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ উদ্ভাবনে যে বিনিয়োগ করে তার তুলনায় তুলনামূলকভাবে ভালো আউটপুট উৎপাদন করছে। তবে ইনপুট সূচকে দেশটির অবস্থান ১১৫তম, যা গত বছরের চেয়ে এক ধাপ পিছিয়েছে। আউটপুট সূচকে বাংলাদেশ ৯৫তম স্থানে, যা ২০২৪ সালের ৯২তম অবস্থানের চেয়ে খারাপ।

 

সাতটি স্তম্ভের মধ্যে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ৮৬তম স্থানে রয়েছে সৃজনশীলতা সূচকে। এরপর অবকাঠামোতে ৯০তম, বাজার আধুনিকায়নে ৯৬তম এবং জ্ঞান ও প্রযুক্তি সূচকে ৯৯তম। সবচেয়ে পিছিয়ে আছে মানবসম্পদ ও গবেষণায় (১৩৩তম), ব্যবসায়িক দক্ষতায় (১২৯তম) এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতায় (১০৯তম)।

 

প্রতিবেদনে বিশেষভাবে দুর্বলতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে আইসিটি সেবা আমদানি, শিক্ষাখাতে ব্যয়, বিশ্ববিদ্যালয়–শিল্প গবেষণা সহযোগিতা, মাধ্যমিক শিক্ষায় শিক্ষক–শিক্ষার্থী অনুপাত এবং বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীর স্বল্পতা।

 

ডব্লিউআইপিও মহাপরিচালক ড্যারেন ট্যাং প্রতিবেদনের প্রকাশ অনুষ্ঠানে বলেন, “উদ্ভাবনী খাতে কিছু ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা গেলেও গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধি ধীর হওয়া এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কার্যক্রম কমে যাওয়া আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে উদ্ভাবনের জন্য দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক প্রতিশ্রুতি অপরিহার্য।”

সব খবর