সর্বশেষ

৩০ অক্টোবরের পর বন্ধ হয়ে যাবে ১০টির বেশি সিম

প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩৩
৩০ অক্টোবরের পর বন্ধ হয়ে যাবে ১০টির বেশি সিম

একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে সর্বোচ্চ ১০টি সিম রাখার নিয়ম এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। কমিশন জানিয়েছে, আগামী ৩০ অক্টোবরের পর কোনো এনআইডিতে ১০টির বেশি সিম নিবন্ধিত থাকলে অতিরিক্ত সিমগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে।

 

বিটিআরসি সম্প্রতি জারি করা এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গ্রাহকরা চাইলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের পছন্দের ১০টি সিম রেখে বাকি সিমগুলো ডি-রেজিস্টার বা মালিকানা পরিবর্তন করতে পারবেন। এ জন্য সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ারে যেতে হবে। নির্ধারিত সময়সীমা শেষে কমিশন ‘দৈবচয়ন’ (র‍্যান্ডম সিলেকশন) পদ্ধতিতে অতিরিক্ত সিম বাতিল করবে।

 

গ্রাহকরা সহজেই জানতে পারবেন তাদের এনআইডিতে মোট কতটি সিম নিবন্ধিত আছে। এজন্য যেকোনো মোবাইল থেকে *16001# ডায়াল করে এনআইডির শেষ চারটি সংখ্যা প্রবেশ করালেই সংশ্লিষ্ট তথ্য পাওয়া যাবে।

 

বিটিআরসি জানিয়েছে, অবৈধ সিম ব্যবহার, প্রতারণা ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কমিশনের দাবি, এই পদক্ষেপ সিম নিবন্ধন ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ ও নিরাপদ করবে, একই সঙ্গে মোবাইল আর্থিক প্রতারণা ও গোপনীয়তা লঙ্ঘন প্রতিরোধে ভূমিকা রাখবে।

 

বিটিআরসির এক কর্মকর্তা বলেন, দৈবচয়ন প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার অ্যালগরিদম দ্বারা পরিচালিত হবে। এতে কোনো ব্যক্তিগত প্রভাব বা মানবিক সিদ্ধান্তের সুযোগ থাকবে না। অর্থাৎ, ১০টির বেশি সিম থাকলে কোনগুলো বন্ধ হবে, তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কম্পিউটার নির্ধারণ করবে।

 

বিটিআরসির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত দেশে সক্রিয় মোবাইল সিমের সংখ্যা ১৮ কোটি ৬২ লাখ, অথচ প্রকৃত গ্রাহক সংখ্যা মাত্র ৬ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ গ্রাহকের নামে ৫টির কম সিম, ১৬ শতাংশের নামে ৬ থেকে ১০টি সিম, আর মাত্র ৩ শতাংশ ব্যবহারকারীর নামে ১১টির বেশি সিম রয়েছে।

 

বিটিআরসি জানিয়েছে, সময়মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে অতিরিক্ত সিম বন্ধ হয়ে গেলে পরবর্তীতে তা পুনরায় সক্রিয় করা যাবে না।

সব খবর