যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন ঘোষণাপত্রে সই করে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা দেশের সংখ্যা ১৯ থেকে বাড়িয়ে ৩৯ করেছেন। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা, যাত্রী যাচাই এবং তথ্য বিনিময়ে ঘাটতির কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নতুন তালিকায় সাতটি দেশ যুক্ত হয়েছে পূর্ণ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায়:
- লাওস
- সিয়েরা লিওন
- বুরকিনা ফাসো
- মালি
- নাইজার
- দক্ষিণ সুদান
- সিরিয়া
এর আগে পূর্ণ নিষেধাজ্ঞায় ছিল আফগানিস্তান, মিয়ানমার, শাদ, রিপাবলিক অব কঙ্গো, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, এরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন। ফলে এখন মোট ২০টি দেশ পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার আওতায়।
নতুন করে আরও ১৫টি দেশ আংশিক নিষেধাজ্ঞায় যুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই সাব-সাহারান আফ্রিকার দেশ।
- অ্যাঙ্গোলা
- বেনিন
- আইভরি কোস্ট
- গ্যাবন
- গাম্বিয়া
- মালাউই
- মৌরিতানিয়া
- নাইজেরিয়া
- সেনেগাল
- তানজানিয়া
- জাম্বিয়া
- জিম্বাবুয়ে
- অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা
- ডমিনিকা
- টোঙ্গা
এর আগে থেকেই বুরুন্ডি, কিউবা, টোগো ও ভেনেজুয়েলা আংশিক নিষেধাজ্ঞায় ছিল। তবে তুর্কমেনিস্তানের ওপর আংশিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। বর্তমানে মোট ১৯টি দেশ আংশিক নিষেধাজ্ঞার আওতায়।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এসব দেশের ক্ষেত্রে যাত্রী যাচাই, নিরাপত্তা পর্যালোচনা ও তথ্য বিনিময়ে গুরুতর ঘাটতি রয়েছে।
- দুর্নীতি হার বেশি
- ভুয়া নাগরিক নথি ব্যবহারের অভিযোগ
- অপরাধসংক্রান্ত রেকর্ড আদান–প্রদানে ঘাটতি
- ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অবস্থান করার প্রবণতা
- যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো নাগরিকদের গ্রহণে অস্বীকৃতি
নিষেধাজ্ঞা পর্যটক, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়িক ভ্রমণকারী ও স্থায়ীভাবে বসবাসে আগ্রহীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। তবে যাদের বৈধ ভিসা রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা, কূটনীতিক ও নির্দিষ্ট ক্রীড়া ভিসাধারীরা এর বাইরে থাকবেন। জাতীয় স্বার্থে বিশেষ ছাড় দেওয়ার সুযোগও থাকবে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার জানিয়েছে, নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাগুলো ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।