সর্বশেষ

ফেনীতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলার আবেদন ১৩ মাস পর

প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৫৭
ফেনীতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলার আবেদন ১৩ মাস পর
ফেনীতে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা

ফেনীর মহিপালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে হামলার অভিযোগে ১৩ মাস পর সাংবাদিকসহ ১৫০ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলার আবেদন করা হয়েছে। বুধবার ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোনাগাজী উপজেলার পূর্ব সুজাপুর গ্রামের বাসিন্দা এনায়েত উল্লাহ এ আবেদন করেন।

 

মামলায় দৈনিক দেশ রূপান্তর, ইউএনবি ও দৈনিক ফেনীর তিন সাংবাদিক—শফি উল্লাহ রিপন, শাখাওয়াত হোসেন ডন চৌধুরী ও সাহেদ সাব্বিরকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া ফেনী-৩ আসনের সাবেক এমপি মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, ফেনী-২ আসনের সাবেক এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী, সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপনসহ ১০৬ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৫০–১০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

 

এজাহারে বাদী দাবি করেন, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা গুলি চালায়, যাতে ৯ জন নিহত ও দুই শতাধিক আহত হন। তিনি নিজেও গুলিবিদ্ধ হন এবং পরে চিকিৎসা নিতে বাধার মুখে পড়েন। পেশায় শ্রমিক হওয়ায় মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে বলে জানান তিনি।

 

অন্যদিকে সাংবাদিকদের মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদে বুধবার রাতে ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিকরা মামলাকে ‘কণ্ঠরোধের ভয়াল ষড়যন্ত্র’ আখ্যা দিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেন।

 

সাংবাদিক শফি উল্লাহ রিপন বলেন, “সোনাগাজী থানার সালিশ বাণিজ্য, চুরি-ডাকাতি নিয়ে আমরা একাধিক প্রতিবেদন করেছি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে একটি পক্ষ আমাদের মামলায় যুক্ত করেছে।” তিনি নিজেও জুলাই আন্দোলনে আহত হয়েছিলেন বলে জানান।

 

বাদী এনায়েত উল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, “আমি আহত হয়ে চিকিৎসাধীন থাকায় মামলা করতে সময় লেগেছে। আসামিদের সবাইকে চিনি।” সাংবাদিকদের জড়ানোর বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি না হয়ে কল কেটে দেন।

 

ফেনী জেলা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মুহাইমিন তাজিম বলেন, “এ ধরনের মামলা প্রকৃত গণঅভ্যুত্থানকে দুর্বল ও বিতর্কিত করতে করা হচ্ছে। বিচারের নামে অবিচার শুরু হয়েছে।”

সব খবর