টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলারের দাম আবারও বেড়েছে। ২৩ অক্টোবর বিভিন্ন ব্যাংকে ডলারের সর্বোচ্চ বিক্রয়মূল্য ছিল ১২২ টাকা ৭৫ পয়সা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২২ টাকা ৩০ পয়সা। ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমদানি এলসি খোলার সংখ্যা বেড়ে যাওয়াসহ কয়েকটি কারণেই ডলারের দাম বাড়ছে।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে ডলারের বিক্রয়মূল্য ছিল ১২২.৭৫ টাকা এবং ক্রয়মূল্য ১২১.৭৫ টাকা। রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকে বিক্রয়মূল্য ছিল ১২২.৬০ টাকা এবং ক্রয়মূল্য ১২১.৬০ টাকা। ঢাকা ব্যাংক এক ডলার বিক্রি করেছে ১২২.৫০ টাকায় এবং ক্রয় করেছে ১২১.১৫ টাকায়।
এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আন্তঃব্যাংক বিনিময় হারেও প্রভাব ফেলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আন্তঃব্যাংক বাজারে ডলারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ১২২.২৫ টাকা, যা গতকাল ছিল ১২২ টাকা। ২০ অক্টোবর পর্যন্ত এই হার ছিল ১২১.৮০ টাকার আশপাশে।
এক বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন তুলনামূলক বেশি দামে ডলার কিনছে। আমদানি এলসি খোলাও কিছুটা বেড়েছে, যা ডলারের চাহিদা বাড়িয়েছে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর মাসে আমদানি এলসি খোলা হয়েছে ৬.৩ বিলিয়ন ডলারের, যেখানে আগস্টে ছিল ৫.৩৮ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ এক মাসেই প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি আমদানি চুক্তি হয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি ছয়টি ব্যাংক থেকে প্রতি ডলার ১২১.৮০ টাকা দরে ৩৮ মিলিয়ন ডলার কিনেছে। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংক মোট ২.১২ বিলিয়ন ডলার কিনেছে।
পুবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, “আমদানি ব্যয়ের চাপে ডলারের দাম কিছুটা বেড়েছে, তবে এটি অস্বাভাবিক নয়। বাজারে ডলারের সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে।”
বিশ্লেষকদের মতে, ডলারের দাম বাড়ার ফলে আমদানি ব্যয় বাড়বে, যা মূল্যস্ফীতির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরবরাহ নিয়ন্ত্রণে রাখলে বাজার স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা করা যায়।