সর্বশেষ

চাঁদা না দেয়ার জের

বাঞ্ছারামপুরে আওয়ামী লীগ নেতাকে গলা কেটে হত্যা

জেলা প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:০০
বাঞ্ছারামপুরে আওয়ামী লীগ নেতাকে গলা কেটে হত্যা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। নিহত মো. মুছা মিয়া (আবু মুসা) ছলিমাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। রোববার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় হোসেনপুর পাঠামারা এলাকার জোয়ারার বিলে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত মুছা মিয়া কিছুদিন ধরে হোসেনপুর–পাঠামারা এলাকায় শেলোচালিত ড্রেজার ব্যবহার করে বালু উত্তোলন ও বিক্রির কাজ করছিলেন। রোববার সন্ধ্যার দিকে দুর্বৃত্তরা তাকে বিলে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তাকে গলা কেটে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে বিলের মধ্যে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর এলাকাবাসী রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে তার পরিবারকে খবর দেয়। পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।

 

নিহতের ছেলে উজ্জ্বল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, “কয়েকদিন আগে আশরাফবাদ গ্রামের সায়েম নামে এক ব্যক্তি টাকার জন্য আমার বাবাকে মারধর করেছিল। বাবা তাকে কিছু টাকা দেওয়ার কথা বলেছিলেন। আজ বিকেলে বাবা বিলের দিকে গেলে তাকে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। আমার ধারণা, সায়েমই বাবাকে খুন করেছে।”

 

ঘটনার খবর পেয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান জামিল খান বলেন, “সন্ধ্যায় খবর পাই হোসেনপুর এলাকায় একজনের মরদেহ পড়ে আছে। আমরা সেখানে পৌঁছে দেখি সাবেক ইউপি সদস্য আবু মুসার গলাকাটা মরদেহ। প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলেই মনে হচ্ছে। তদন্ত চলছে, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।”

 

স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে এই হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। হত্যার পেছনে বালু উত্তোলনের টাকা থেকে চাঁদা না দেওয়াকে কারণ হিসেবে স্থানীয়রা মনে করলেও পুলিশ বলছে, সব দিক বিবেচনা করে তদন্ত এগিয়ে নেওয়া হবে।

সব খবর

আরও পড়ুন