এশিয়া কাপের দ্বিতীয় ম্যাচেই বড় ধাক্কা খেল বাংলাদেশ। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে শনিবার শ্রীলঙ্কার কাছে ৬ উইকেটে হেরে সুপার ফোরে ওঠার সমীকরণ কঠিন করে ফেলল লিটন দাসের দল।
টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন লঙ্কান অধিনায়ক চরিত আসালাঙ্কা। ব্যাট হাতে শুরুটা ছিল বাংলাদেশের জন্য দুঃস্বপ্নের মতো। ইনিংসের প্রথম দুই ওভারে ফিরেছেন ওপেনার তানজিদ হাসান ও পারভেজ হোসেন ইমন—দুজনই শূন্য রানে। এরপর লিটন দাস কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও ২৬ বলে ২৮ রান করে ফিরতে হয় তাকে। ৫৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে পড়ে বাংলাদেশ।
এই অবস্থায় দলকে ভরসা দেন জাকের আলি ও শামীম হোসেন। দুজনের অপরাজিত জুটিতে ৮৬ রান যোগ হয়। জাকের ৩৪ বলে ৪১ ও শামীম ৩৪ বলে ৪২ রান করেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে বাংলাদেশ থামে ১৩৯/৫ এ। বল হাতে লঙ্কানদের হয়ে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ২ উইকেট নেন।
১৪০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শ্রীলঙ্কা শুরুতে কুশল মেন্ডিসকে হারালেও দ্রুত ম্যাচ নিজেদের দখলে নেয়। ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা করেন ঝড়ো ৫০ রান (৩৪ বলে), আর জীবন পাওয়া কামিল মিশারা ৪৬ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। দুজন মিলে দ্বিতীয় উইকেটে ৯৫ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশের আশা নিভিয়ে দেন। শেষ পর্যন্ত ১৪.৪ ওভারে ১৪০ রান তুলে ৬ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের হয়ে শেখ মেহেদি হাসান নেন ২ উইকেট।
এই হারে গ্রুপ বি–তে বাংলাদেশের অবস্থান এখন তৃতীয়। সমান দুই ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আফগানিস্তান, নেট রান রেটে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে শ্রীলঙ্কা। হংকং এখনও শূন্য হাতে। ফলে সুপার ফোরে যেতে হলে বাংলাদেশকে শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারাতেই হবে, সেইসাথে তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য ম্যাচের ফলাফলের দিকেও।
ম্যাচ শেষে স্পষ্ট হয়েছে—ব্যাটিং বিপর্যয় আর নেট রান রেটের বড় ধস বাংলাদেশের সামনে এখন সবচেয়ে বড় বাধা। টুর্নামেন্টের আগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখালেও লঙ্কানদের বিপক্ষে লিটন-হৃদয়দের ব্যর্থতা সেই আত্মবিশ্বাসে বড় আঘাত হেনেছে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৩৯/৫ (শামীম ৪২*, জাকের ৪১*, লিটন ২৮; হাসারাঙ্গা ২/২৫)।
শ্রীলঙ্কা: ১৪.৪ ওভারে ১৪০/৪ (নিশাঙ্কা ৫০, মিশারা ৪৬*; মেহেদি ২/২৯)।
ফল: শ্রীলঙ্কা ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: কামিল মিশারা।