শেষ ওভারের টানটান উত্তেজনার পর শ্রীলঙ্কাকে চার উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে দুর্দান্ত সূচনা করল বাংলাদেশ। দুবাইয়ে শনিবার অনুষ্ঠিত ম্যাচে মুস্তাফিজুর রহমান ও শেখ মেহেদির নিখুঁত বোলিংয়ের পর সাইফ হাসান ও তাওহিদ হৃদয়ের ঝলমলে ফিফটিতে জয় নিশ্চিত হয় লিটন দাসের দলের।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দাসুন শানাকার ঝোড়ো ইনিংসে ২০ ওভারে ১৬৮ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। শেষদিকে মুস্তাফিজ অসাধারণ নিয়ন্ত্রণ দেখিয়ে তিন উইকেট নেন মাত্র ২০ রানে। শেখ মেহেদিও সমান কার্যকর ছিলেন, চার ওভারে দুটি উইকেট দেন ২৫ রানে। তাসকিন আহমেদ পান একটি উইকেট।
লঙ্কান ইনিংসে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন অধিনায়ক শানাকা। তিনি ৩৭ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন, যেখানে ছয়টি ছক্কা ছিল চোখে পড়ার মতো। আসালাঙ্কা যোগ করেন ২১ রান। তবে বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত স্পেল বড় সংগ্রহ গড়তে দেয়নি প্রতিপক্ষকে।
১৬৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শূন্য রানে ফেরেন তানজিদ হাসান। তবে ওপেনার সাইফ হাসান আস্থার প্রতিদান দেন দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে। ৪৫ বলে চার ছক্কা ও তিন চারে খেলেন ৬১ রানের ইনিংস। এটি তার প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ফিফটি।
অন্যপ্রান্তে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে তাওহিদ হৃদয়ও ফিরলেন আলোচনায়। অনেকদিন রান খরায় ভুগলেও এ ম্যাচে ৩৭ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলে দলকে এগিয়ে নেন তিনি। তার ইনিংসে ছিল তিনটি ছক্কা ও চারটি চার।
শেষ ওভারে নাটক জমে যায়। সমীকরণে ছিল মাত্র কয়েক রান। প্রথম বলেই জাকের আলির বাউন্ডারি উল্লাস জাগায়, তবে দাসুন শানাকার দুর্দান্ত বোলিংয়ে পরের তিন বলে হারায় দুই উইকেট। নন-স্ট্রাইকে থাকা শামীম হোসেনের উত্তেজিত প্রতিক্রিয়ায় মুহূর্তে শঙ্কা তৈরি হয়। তবে শেষ পর্যন্ত নাসুম আহমেদের ব্যাটে নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের জয়, ম্যাচ শেষ হয় ১৯.৫ ওভারে।
এই জয়ে বাংলাদেশের হয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন সাইফ হাসান। তার ফিফটি দলকে জয়ের ভিত গড়ে দেয়। মুস্তাফিজ ১৪৯ উইকেট নিয়ে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হন। অন্যদিকে, রান সংগ্রহে সবার ওপরে উঠেছেন লিটন দাস (২৫৫৬ রান)।
বাংলাদেশের এই জয়ে নতুন করে আশার আলো দেখছে সমর্থকরা। এশিয়া কাপের বাকি ম্যাচগুলোতেও ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলেই ফাইনালের পথে এগোতে পারবে লাল-সবুজের দল।