পেসার তাসকিন আহমেদের বিধ্বংসী বোলিং এবং অধিনায়ক লিটন দাসের ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরিতে নেদারল্যান্ডসকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম খেলায় টাইগাররা ৮ উইকেটের সহজ জয় তুলে নিয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেছে।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে নেদারল্যান্ডস। দুই ওপেনার ম্যাক্স ও’ ডাউড ও বিক্রমজিত সিং ৩ ওভারে ২৫ রান যোগ করে ভালো সূচনা দিলেও বাংলাদেশ শিবিরে দ্রুত ফিরিয়ে আনেন তাসকিন। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই ও’ডাউডকে সাজঘরে ফেরান তিনি। এরপর অষ্টম ওভারে আবারও প্রথম বলেই বিক্রমজিতকে আউট করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় বাংলাদেশ।
এরপর স্কট এডওয়ার্ডস ও তেজা নিদামানুরু ১৫ বলে ২৩ রানের জুটি গড়ে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও অফ-স্পিনার সাইফ হাসান সেই আশা গুঁড়িয়ে দেন। নিজের প্রথম ওভারেই তুলে নেন জোড়া উইকেট। এডওয়ার্ডসকে আউট করে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম সাফল্য পান সাইফ।
মাঝের ওভারে মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আবারও ডাচদের চেপে ধরেন। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে নেদারল্যান্ডস। শেষদিকে টিম প্রিঙ্গেল ও আরিয়ান দত্তর ১৫ বলে ২৭ রানের জুটি ডাচদের কিছুটা লড়াইয়ের সুযোগ এনে দিলেও বড় সংগ্রহ গড়তে ব্যর্থ হয় তারা। নির্ধারিত ২০ ওভারে নেদারল্যান্ডস থামে ৮ উইকেটে ১৩৬ রানে। তাসকিন নেন ২৮ রানে ৪ উইকেট, সাইফ ২টি ও মুস্তাফিজ ১টি উইকেট শিকার করেন।
১৩৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত সূচনা করেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। প্রথম ওভারেই মারেন দুটি চার ও একটি ছক্কা। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি; ৯ বলে ১৫ রান করে ফেরেন সাজঘরে। এরপর তানজিদ হাসান ও লিটন দাসের ৩৯ বলে ৬৬ রানের জুটি দলকে জয়ের পথে এগিয়ে দেয়।
লিটন ঝড়ো ইনিংস খেলতে থাকেন। মাত্র ২৬ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ১৩তম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি, যা বাংলাদেশের হয়ে সাকিব আল হাসানের সর্বোচ্চ হাফ-সেঞ্চুরির রেকর্ডে তাকে সমান স্থানে দাঁড় করায়। ২৯ বলে অপরাজিত ৫৪ রানে ম্যাচ শেষ করেন লিটন। অন্য প্রান্তে সাইফ হাসানও ছিলেন বিধ্বংসী; ১৯ বলে ৩টি ছক্কা ও ১টি চারে অপরাজিত ৩৬ রানে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন।
বাংলাদেশ ৩৯ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটে জয় তুলে নেয়। ম্যাচসেরা হন তাসকিন আহমেদ।
আগামী ১ সেপ্টেম্বর একই ভেন্যুতে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস।