আবুধাবিতে এশিয়া কাপের মঞ্চে অবশেষে হংকংয়ের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টিতে প্রথম জয় পেল বাংলাদেশ। এর আগে একবারই দুই দলের দেখা হয়েছিল—২০১৪ সালে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। সেবার স্বাগতিক বাংলাদেশ হেরেছিল ২ উইকেটে। সেই তিক্ত স্মৃতি পেছনে ফেলে এবার ৭ উইকেটের জয় তুলে নিল টাইগাররা।
১৪৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দুই ওপেনার দ্রুত ফিরলেও জয়ের ভিত গড়েন লিটন দাস ও তাওহীদ হৃদয়। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৯৫ রানের জুটি। শুরুতে ব্যাটিং ছিল ধীর গতির, বাউন্ডারি আসছিল না সহজে। তবে চাপ সামলে হাত খুলে খেলেন লিটন। ২৪ বলে ২৬ রান থেকে ৩৩ বলে পূর্ণ করেন অর্ধশতক। শেষ পর্যন্ত ৩৯ বলে ৬টি চার ও ১টি ছক্কার মারে ৫৯ রানে আউট হন তিনি। অপর প্রান্তে হৃদয় ৩৫ রানে অপরাজিত থেকে ১৪ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করেন।
এই ম্যাচে লিটন বাংলাদেশ ক্রিকেটে নতুন মাইলফলক গড়েন। মাহমুদউল্লাহকে ছাড়িয়ে টি–টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ছক্কার (৭৮) রেকর্ড এখন তার দখলে। ম্যাচসেরাও হন
তিনি।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে হংকং সংগ্রহ করে ৭ উইকেটে ১৪৩ রান। জিশান আলীর ৩০, নিজাকাত খানের ৪২ ও অধিনায়ক ইয়াসিম মুর্তজার ১৯ বলে ঝোড়ো ২৮ রানে লড়াইয়ের মতো স্কোর দাঁড় করায় তারা। শেষদিকে অবশ্য নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় গতি হারায় তাদের ইনিংস।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে চোখে পড়েন তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিব। ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বল করে ২১ রানে নেন ২ উইকেট। তাসকিন আহমেদ ও রিশাদ হোসেনও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট তুলে নেন। বিশেষ করে রিশাদ শেষ ওভারে টানা দুই বলে নিজাকাত ও কিঞ্চিত শাহকে ফিরিয়ে দেন।
বল হাতে হংকংয়ের হয়ে আলো ছড়ান আতিক ইকবাল। মাত্র ১৪ রানে তুলে নেন বাংলাদেশের দুই ওপেনারের উইকেট। তবে শেষ পর্যন্ত লিটন-হৃদয়ের জুটি হংকংয়ের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়।
এই জয়ে ‘বি’ গ্রুপে প্রথম জয় ও পূর্ণ ২ পয়েন্ট পেল বাংলাদেশ। তবে ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই, বিশেষ করে মাঝের ওভারগুলোতে ধীর গতির রান তোলার কারণে। তবুও প্রথম ম্যাচের ব্যর্থতার পর জয়টাই এখন আত্মবিশ্বাসের বড় জ্বালানি হয়ে থাকছে টাইগারদের জন্য।