সর্বশেষ

শীতের আগাম বার্তা

মৃদু থেকে তীব্র ১০ শৈত্যপ্রবাহ, ৪ ডিগ্রিতে নামবে তাপমাত্রা

প্রকাশিত: ৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৩০
মৃদু থেকে তীব্র ১০ শৈত্যপ্রবাহ, ৪ ডিগ্রিতে নামবে তাপমাত্রা

এবারের শীত মৌসুমে একের পর এক শৈত্যপ্রবাহে কাঁপতে পারে দেশ। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি মৌসুমি পূর্বাভাস বলছে—নভেম্বর থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত অন্তত ১০টি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। এর মধ্যে তিনটি তীব্র মাত্রার হতে পারে, যেখানে তাপমাত্রা নেমে যেতে পারে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত।

 

রোববার রাতে প্রকাশিত পূর্বাভাসে জানানো হয়, এবারের শীত স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা দীর্ঘ ও খানিকটা বেশি শীতল হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহ বাড়ার পাশাপাশি কুয়াশা ও তাপমাত্রার ওঠানামা মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা, বিশেষ করে উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত হতে পারে শীতের সবচেয়ে কঠিন সময়, যখন দেশের অনেক স্থানে মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বইতে পারে।

 

আবহাওয়াবিদ মমিনুল ইসলাম জানান, এই তিন মাসে স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে। সাগরে দুই থেকে চারটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে দুটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ার সম্ভাবনা আছে। নভেম্বর থেকেই দিন ও রাতের তাপমাত্রা দ্রুত কমতে শুরু করবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

পূর্বাভাস বলছে, এবার চার থেকে সাতটি মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে, যেখানে তাপমাত্রা নেমে যেতে পারে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। আর উত্তর-পশ্চিম, উত্তর-পূর্ব এবং মধ্যাঞ্চলের কিছু এলাকায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে হতে পারে—যেখানে থার্মোমিটারের পারদ ৪ ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে।

 

উত্তরাঞ্চল ও হিমালয়সংলগ্ন এলাকায় শীতের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অফিস। বিশেষত পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, রংপুর, কুড়িগ্রাম, নওগাঁ, নাটোর ও রাজশাহীতে ঠান্ডার তীব্রতা বেশি হবে। দীর্ঘ শীত ও কুয়াশা কৃষি ও কৃষিজ শ্রমিকদের জন্য বাড়তি চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে বলেও জানিয়েছে পূর্বাভাস।

 

আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই রাতের তাপমাত্রা দ্রুত কমতে শুরু করার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বিশেষজ্ঞরা স্বাস্থ্য সতর্কতা, শীতবস্ত্র প্রস্তুত রাখা এবং কৃষির জন্য সুরক্ষা ব্যবস্থার পরামর্শ দিয়েছেন।

সব খবর