সর্বশেষ

জঙ্গি মতাদর্শের পুনর্বাসনের আশঙ্কাঃ কুয়েটে উপাচার্য হলেন মাকসুদ হেলালী

প্রকাশিত: ১০ অগাস্ট ২০২৫, ১৪:৩৩
জঙ্গি মতাদর্শের পুনর্বাসনের আশঙ্কাঃ কুয়েটে উপাচার্য হলেন মাকসুদ হেলালী

বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো একসময় মুক্তবুদ্ধি, বিজ্ঞানমনস্কতা ও মানবিক চেতনার কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কিছু নিয়োগ ও সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। সর্বশেষ উদাহরণ হলো নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিজবুত তাহরির-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) যন্ত্রকৌশল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মো. মাকসুদ হেলালীকে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)-এর উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ।

 

মাকসুদ হেলালী সাত বছর আগে অবসরে যান। একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের পুনর্নিয়োগে তাত্ত্বিক আপত্তি না থাকলেও, অতীতে নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতৃত্বে থাকার কারণে তার এই নিয়োগ শিক্ষাবিদসহ অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষ করে, দেশের একটি শীর্ষ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান হিসেবে তার ভূমিকা শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশে কী প্রভাব ফেলবে—এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগের বিষয়।

 

বাংলাদেশে হিজবুত তাহরির আইন অনুযায়ী সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত, যাদের লক্ষ্য গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বিলোপ করে খিলাফত কায়েম করা। এমন একটি সংগঠনের প্রাক্তন শীর্ষ নেতার হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্ব অর্পণ প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের পাশাপাশি রাজনৈতিক ও মতাদর্শিক প্রভাবের ইঙ্গিতও বহন করে।

 

শিক্ষাঙ্গন অতীতে রাজনৈতিক ও উগ্রপন্থী প্রভাবের কারণে সহিংসতা ও গবেষণার মান হ্রাসের অভিজ্ঞতা পেয়েছে। তাই এ ধরনের সিদ্ধান্তের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিয়ে এখনই আলোচনা ও মূল্যায়ন জরুরি। দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুক্তবুদ্ধি ও প্রগতিশীল চেতনার পরিবেশ রক্ষা করা জাতীয় স্বার্থের অংশ, এবং এ জন্য নীতি ও নিয়োগে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সময়ের দাবি।

সব খবর