সর্বশেষ

ধুরন্ধর

দেশপ্রেম, থ্রিল আর রণবীরের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন

বিনোদন ডেস্ক বিডি ভয়েস
প্রকাশিত: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০:৩৫
দেশপ্রেম, থ্রিল আর রণবীরের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন

রণবীর সিংয়ের নতুন ছবি ‘ধুরন্ধর’ মুক্তির মাত্র ১২ দিনের মাথায় ভারতের বক্স অফিসে ৪০০ কোটি টাকার গণ্ডি পেরিয়ে ফেলেছে। আমির খানের ‘দঙ্গল’-এর দীর্ঘদিনের রেকর্ডকে ছাপিয়ে এই ছবিটি এখন বলিউডের অন্যতম সফল চলচ্চিত্র। কিন্তু শুধু সংখ্যাতেই নয়, ‘ধুরন্ধর’ তার গল্প, নির্মাণ ও অভিনয়ের গুণে দর্শকদের মন জয় করেছে।

 

ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে রণবীর সিং একজন ভারতীয় গোপনচর, যিনি পাকিস্তানে একটি গোপন অভিযানে অংশ নেন। পরিচালক আদিত্য ধর ছবির শুরু থেকেই দর্শকদের টানটান উত্তেজনায় ধরে রাখেন। গল্পে দেশপ্রেম, ষড়যন্ত্র, বিশ্বাসঘাতকতা এবং আত্মত্যাগের ছাপ স্পষ্ট। স্ক্রিপ্টে রয়েছে বাস্তবতা ও আবেগের মিশেল, যা দর্শকদের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করে।

 

রণবীর সিং এই ছবিতে যেন নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করেছেন। তাঁর চোখের ভাষা, সংলাপ বলার ভঙ্গি, এবং অ্যাকশন দৃশ্যে উপস্থিতি—সব মিলিয়ে চরিত্রটি জীবন্ত হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে পাকিস্তানের সেনা ঘাঁটিতে তাঁর একক অভিযান দৃশ্যটি দর্শকদের শ্বাস আটকে রাখে।

 

ছবিতে অক্ষয় খান্না, অর্জুন রামপাল, সঞ্জয় দত্ত, রাকেশ বেদী, সারা অর্জুন, গৌরব ও সৌম্য ট্যান্ডনের মতো অভিনয়শিল্পীরা রয়েছেন। প্রত্যেকে নিজ নিজ চরিত্রে অসাধারণ পার্ফম করেছেন। সংলাপগুলো সংযত, কিন্তু প্রয়োজনীয় জায়গায় তীক্ষ্ণ। “দেশের জন্য মরতে নয়, বাঁচতে শিখো”—এই সংলাপটি ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল।

 

ছবির সিনেমাটোগ্রাফি প্রশংসনীয়। পাকিস্তানের সীমান্ত অঞ্চল, গুপ্তচর কেন্দ্র, এবং যুদ্ধক্ষেত্রের দৃশ্যগুলোতে ক্যামেরার কাজ নিখুঁত। ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর ছবির আবেগকে আরও তীব্র করে তোলে। অ্যাকশন দৃশ্যগুলো বাস্তবসম্মত এবং অতিরঞ্জিত নয়।

 

‘ধুরন্ধর’ ইতিমধ্যেই ‘দঙ্গল’-এর ৩৮৭ কোটি টাকার রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। দ্বিতীয় সপ্তাহে সর্বোচ্চ আয়কারী হিন্দি ছবির তালিকায় এটি এখন শীর্ষে। ‘পুষ্পা ২’ ও ‘ছাওয়া’-র মতো ছবির রেকর্ডও ভেঙেছে।

 

‘ধুরন্ধর’ রণবীর সিংয়ের ক্যারিয়ারে এটি একটি মাইলফলক। পরিচালক আদিত্য ধর প্রমাণ করেছেন, দিনশেষে কনটেন্টই রাজত্ব করবে চলচ্চিত্রে।

সব খবর

আরও পড়ুন